রাখাইনরা বাংলাদেশে বসবাসকারী অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। তারা বর্তমান মায়ানমারের আরাকান রাজ্য থেকে এদেশে এসে নিজস্ব সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে এক বৈচিত্র্যময় জীবনধারা গড়ে তুলেছে।
রাখাইন | Rakhaine - জীবন ও জীবিকা
রাখাইনদের নামকরণ (Naming)
রাখাইনদের আদিনিবাস ছিল মিয়ানমারের আরাকান অঞ্চলে। তারা স্বদেশকে 'রক্ষইলী' এবং নিজেদেরকে 'ব্রাহ্মাইন' নামে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে।
মূলত যারা সাংস্কৃতিক, ভাষাগত ও ধর্মীয় জীবনযাপনের নিজস্ব প্রথা, প্রতিষ্ঠান ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ এবং লালন করে তারাই রাক্ষাইন, অর্থাৎ রক্ষক।
রাখাইন নেতা তাহানের মতে, রাখাইন শব্দটির উদ্ভব ঘটেছে 'রক্ষা' ও 'রক্ষাইন' এ দুটো পালি শব্দ থেকে। যার সম্মিলিত অর্থ হচ্ছে রক্ষণশীল জোতি'।
রাখাইনদের উৎপত্তি (Origin)
অষ্টাদশ শতাব্দীর চতুর্থ দশক হতে শেষ দশক পর্যন্ত আরাকান অঞ্চলটি ছিল ব্যাপক বিদ্রোহ, হত্যা ও ক্ষমতা দখলের দ্বন্দ্বমুখর রাজ্য।
ওই শতাব্দীর শেষের দিকে নিজ অমাত্যবর্গের চক্রান্তে আরাকানরাজ থামাদা বর্মীরাজ বোধপীয়ার কাছে পরাজিত হন। বর্মীরা আরাকান দখল করে অসংখ্য আরাকানি নারী-পুরুষকে গ্রেফতার করে ।
তারা ধৃত স্ত্রীলোকদেরকে বর্মায় পাঠায় আর পুরুষদের হত্যা করে। এ অবস্থায় বহু আরাকানী উদ্বাস্তু সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আশ্রয়গ্রহণ করে।
অবশিষ্ট আরাকানিরা বর্মীসেনাদের প্রবল অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেও বর্মীসেনারা তা কঠোরভাবে দমন করে।
অবশেষে বিদ্রোহী আরাকানিরাও নিজেদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে সপরিবারে সীমান্ত অতিক্রম করে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, বরগুনা ও পটুয়াখালীতে আশ্রয় নেয়।
অবস্থান ও জনসংখ্যা (Location and population)
বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক রাখাইনরা বাস করছে। তাছাড়া স্বল্পসংখ্যক রাখাইন কক্সবাজারের রামু, টেকনাফ, মানিকছড়ি, বান্দরবান ও বরিশালে বাস করে।
১৯৭৯ সালের আদমশুমারি মোতাবেক পটুয়াখালী ও বরগুনায় রাখাইনদের জনসংখ্যা ছিল ৩,৭১৩ জন।
অবশ্য কক্সবাজারের রাখাইনদের জনসংখ্যা সম্পর্কে কোনো সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও সংখ্যায় তারা এর কয়েক গুণ হবে। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এদেশে রাখাইনদের সংখ্যা প্রায় ১৭,০০০ ।
বিঃদ্রঃ
রাখাইনদের অংশবিশেষ পনেরো শতক থেকে চট্টগ্রামের রামু অঞ্চলে বসবাস শুরু করলেও আঠারো শতকে আরাকানের রাজনৈতিক দুর্যোগ তাদের অধিকাংশকে স্বদেশ ত্যাগে বাধ্য করে ।
নরগোষ্ঠীগত পরিচয় (Racial identity)
নৃতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণে রাখাইনদের অধিকাংশই মঙ্গোলীয় জনগোষ্ঠীর লোক।
তাদের নাক কিছুটা চ্যাপ্টা, মুখমণ্ডল গোলাকার, দেহের রং ফর্সা, কারো কারো দেহের রং ঈষৎ শ্যামলা, চুল কালো কিন্তু সোজা, দেহের উচ্চতা প্রায় মাঝারি ধরনের।
রাখাইনদের সামাজিক ব্যবস্থা (Social system)
রাখাইন পাড়াগুলো ব্যক্তির নামে গড়ে ওঠে। সাধারণত রাখাইন সমাজের দানশীল ও নেতাদের নামে পাড়ার নামকরণ করা হয়। পাড়ার নেতা বা মাতব্বর ভোটাভুটির ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন।
এক্ষেত্রে রাখাইন নারীরা ভোট দিতে পারেন না। রাখাইনদের স্বার্থবিরোধী কোনো কাজ করলে মাতব্বরকে অপসারণ করে নতুন মাতব্বর নির্বাচন করা হয়।
সামাজিক কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে মাতব্বর গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মতামত নিয়ে বিচার করেন।
ধর্মীয় বিশ্বাস (Religious belief)
রাখাইনরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। তারা বৌদ্য ধর্মের বিজ্ঞানসম্মত শাস্ত্রীয় শিষ্টাচার পালন করেন । তারা সর্বপাপ বর্জন, কুশল কর্মাদি অনুষ্ঠান, চিত্তের নির্মলতা সাধন এবং নির্বাণের সাধনায় চরম বিশ্বাসী।
রাখাইনদের বৌদ্ধ মন্দির বা ‘ক্যাং' জনসাধারণের খরচে পরিচালিত হয়। বৌদ্ধ ধর্মের প্রধান প্রধান দিকগুলো শিক্ষা লাভের জন্য খুব ছোটবেলায় রাখাইন ছেলেমেয়েকে বৌদ্ধ মন্দিরে পাঠানো হয়।
বৌদ্ধদের পবিত্র দিন যেমন- বৈশাখী বা বুদ্ধ পূর্ণিমা, আষাঢ়ী, ভাদ্র পূর্ণিমা, কার্তিকী পূর্ণিমা ও মাঘী পূর্ণিমায় রাখাইনরা দলে দলে বৌদ্ধমন্দিরে গিয়ে বুদ্ধ পূজা, ভিক্ষুকদের দানদক্ষিণ দেওয়া, তাদের থেকে দেশনা শ্রবণসহ প্রদীপ জ্বালিয়ে বুদ্ধকে শ্রদ্ধা জানায়।
এছাড়াও তারা অমাবস্যা ও অষ্টমীতে সমবেতভাবে বৌদ্ধ মন্দিরে পুণ্যকর্ম সম্পাদন করে। বৌদ্ধ ধর্মের আদর্শে বিশ্বাসের পাশাপাশি রাখাইনরা ভাগ্যে চরম বিশ্বাসী এবং জড়বাদের প্রতি ভক্তিশ্রদ্ধা পোষণ করে।
রাখাইনদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- সান্দ্রো পোয়ে (প্রব্রজ্যা গ্রহণ), চা পেং পোয়ে (যৌথভাবে বুদ্ধ বাণী পাঠ), ওয়াছো (বর্ষা সংযম), কাঠিং পোয়ে (কঠিন চীবর দান) ইত্যাদি ।
রাখাইনদের ভাষা (Language)
রাখাইনদের মাতৃভাষা মারমা ভাষার অনুরূপ, যা মঙ্গোলীয় ভাষাগোষ্ঠীর ভোট-ব্রহ্ম শাখার অন্তর্ভুক্ত। এ ভাষা ইন্দো-আর্য বা দ্রাবিড়ীয় আর্য ভাষা থেকে সম্পূর্ণ পৃথক।
মারমা ও রাখাইনদের বর্ণলিপি এক এবং লিখিত ভাষা প্রয়োগের প্রায় ক্ষেত্রে মিল থাকা সত্ত্বেও ব্যবহারিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু অমিল পরিলক্ষিত হয়। বাঙালিসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর। সাথে কথা বলার সময় তারা বাংলা ভাষা ব্যবহার করে।
খাদ্যাভ্যাস (Food habit)
রাখাইনদের প্রধান খাদ্য হলো ভাত, মাছ, ডাল ও সবজি। তারা শূকরের মাংস খেতে খুব পছন্দ করে। রাখাইনরা প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল, বাঁশ-কোড়ল, মাশরুম, নাগ্নি বা সিদোল শুঁটকির গুড়া) ইত্যাদি খায়।
প্রতিদিনের খাবারে স্যুপ থাকে। শাকসবজি ও টক দিয়ে তারা এ স্যুপ তৈরি করে। এছাড়া রাখাইনরা বিভিন্ন রকমের মিষ্টি।
জাতীয় খাবারও খেতে পছন্দ করে। রাখাইনরা নিজেদের তৈরি চুরুট বা পাইপ টানতে ভালোবাসে। পুরুষের পাশাপাশি বয়স্ক মহিলারাও ধূমপান করে।
সামাজিক উৎসব (Social festival)
রাখাইনদের সামাজিক উৎসবগুলোতে কিশোর-কিশোরী ও যুবক-যুবতীদের মাঝে। উচ্ছলতার বন্যা বয়ে যায়। বিশেষ বিশেষ ধর্মীয় ও লৌকিক উৎসবগুলোতে তারা দল বেধে নাচে-গানে, আনন্দ-উৎসবে পরিবেশকে মুখরিত করে তোলে।
'সান্দ্রো তাদের সবচেয়ে বড় সামাজিক উৎসব, যা তিন দিন ধরে উদযাপিত হয়। চৈত্রসংক্রান্তিতে রাখাইনরা সান্ড্রে উৎসবের আয়োজন করে। এ সময় তারা আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠে এবং ভালো। ভালো খাবার তৈরি করে অতিথিদের খাওয়ায়।
রাখাইনদের অন্যান্য উৎসবের মধ্যে পাইলং পোয়ে (নৌকা বাইচ ও মেলা), চিয়াং পোয়ে (বলি খেলা ও মেলা), রাঠাহ পোয়ে (রথ মেলা), লো থোয়ে মাংগালা ( চাষ উৎসব), মাহ-ইং (ফানুস উড়ানো) ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
রাখাইনদের অর্থনীতি (Economy)
রাখাইন সমাজ কৃষিনির্ভর। কৃষি কাজে নারী-পুরুষ উভয়ে অংশ নেন। তাদের সমাজে প্রচলিত উৎপাদন পদ্ধতি অনেকটা আদিম কৃষিভিত্তিক, যা তারা তাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে অর্জন করেছে।
নিজেদের প্রয়োজন মোতাবেক তারা নানা জাতের ধান, ডাল, পিঁয়াজ, আলু, রসুন, আদা, হলুদ, আখ, সরমে, তিল, কুমড়া, তরমুজ ও বিভিন্ন শস্য ফলায়।
শুধু ফসল উৎপাদন নয়, পাশাপাশি নিজস্ব হস্তচালিত তাঁতে কাপড় বোনে, প্রয়োজনীয় লবণ উৎপাদন এবং গুড় তৈরি করে। সেইসাথে নানা রকমের ফলমূল ও সবজিও তারা উৎপাদন করে। আজকাল তাদের অনেককে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে দেখা যায়।
পোশাক-পরিচ্ছদ (Dress)
রাখাইনদের পোষাক-পরিচ্ছদ রঙিন ও সচিত্র হয়ে থাকে। তারা গাছ, উজ্জ্বল বর্ণ এবং বিভিন্ন নকশা সমৃদ্ধ পোশাক পরতে পছন্দ করে।
রাখাইন পুরুষরা সাধারণত ফতুয়ার সাথে লুঙ্গি পরেন। বৃদ্ধরা মাথায় ‘গোমপৌং' বা পাগড়ি এবং বৃদ্ধারা কোমরে 'খাগ্রো' বা জানি ব্যবহার করেন।
এছাড়া রাখাইন যুবকরা নিজেদের তৈরি দোয়া (লুঙ্গি), এনজ্যি (শাট) এবং নারীরা থাবিং (লুঙ্গি), বেদাই এনজ্যি (ব্রাউজ), পোহোপেইন (ওড়না) ইত্যাদি পরেন। রাখাইন মেয়েরা সাজগোজ করতে খুব পছন্দ করেন। তারা অন্তত ত্রিশ ধরনের খোঁপা বাঁধতে পারেন।
তাদের ব্যবহৃত অলংকারের মধ্যে রয়েছে- চিনজুক নাডং (কানফুল), কাখ্যাং (নুপুর), লাউ (চুড়ি), লাকচোয়াই (আইটি), বায়েট (নেকলেস) ইত্যাদি।
বাড়িঘরের ধরন (Housing pattern)
রাখাইনরা মাচার উপর ঘর তৈরি করে বসবাস করে। তাদের মধ্যে অনেকের ঘরে গোলপাতার, আবার কারো ঘর টিনের। তাদের বাড়ির সামনে বা পেছনে উঠান অথবা বাগান থাকে।
তাদের বাড়িগুলো সুসজ্জিত, মেঝে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর। তাদের বাড়ির এক কোণায় রান্না এবং অন্যান্য যাবতীয় কাজ করা হয়। সাধারণত নদীর পাড় ও সমুদ্র উপকূল ঘেঁষে সমতল ভূমিতে রাখাইনদের জনবসতি গড়ে ওঠে।
রাখাইনদের পারিবারিক জীবন (Family life)
রাখাইনদের সমাজকাঠামো পিতৃতান্ত্রিক। তাদের মধ্যে মেয়েদের অধিকার পুরুষদের সমান। কোনো পরিবারে বাবা কিংবা মা মারা গেলে পুত্র ও কন্যারা একই হারে সম্পত্তির অংশ পায়।
বিবাহ ব্যবস্থা (Marriage system)
রাখাইনদের ছেলেমেয়েরা প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাদের পিতামাতা বা অভিভাবকরা বিবাহ দেওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে।
তবে পাত্র-পাত্রীর নিজেদের পছন্দ মোতাবেক বিবাহও হতে পারে। তাদের বিবাহের মধ্যে ধর্মীয় বিধান পালন করা একান্ত অনিবার্য শর্ত।
বৌদ্ধ ভিক্ষু মঙ্গলসূত্র পাঠ করে তাদের বিবাহ পড়ান। সাধারণত মেয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রাখাইন সমাজে আমন ফসল বোনার মৌসুম শুরু থেকে প্রবারণা পূর্ণিমা পর্যন্ত সময়ে কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় না।
রাখাইনদের মাঝে খালাতো, ফুফাতো ও চাচাতো ভাইবোনের (প্যারালাল কাজিন) বিবাহ নিষিদ্ধ। তবে মামাতো ভাইবোনের (ব্রুস কাজিন) বিবাহে বাধা নেই, যদিও পারিবারিকভাবে এ ধরনের বিবাহকে নিরুৎসাহিত করা হয়।
সেবাব্রত গ্রহণ (Livelihood gained by service)
রাখাইন সমাজ ব্যবস্থায় ধর্মীয় শিষ্টাচার পালনের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধমন্দিরে নিয়োজিত পুরোহিত ঠাকুর (বৌদ্ধ ভিক্ষু)-এর হাতে শিশু-কিশোরদের সেবাব্রত গ্রহণ করতে হয়।
একে বলা হয় শ্রমণ হওয়া বা প্রব্রজ্যা গ্রহণ। মেয়েরা গৃহেই ধর্মীয় শিষ্টাচার আরম্ভ করে, তবে পালা-পার্বণে তারা মন্দিরে গিয়ে ধর্মাচার পালন করে।
শিক্ষা ও সংস্কৃতি (Education and culture)
রাখাইন শিশুদের শিক্ষার প্রাথমিক হাতে খড়ি শুরু হয় বৌদ্ধ মন্দিরের পাঠশালায়। এ পাঠশালা "কিয়ং' নামে পরিচিত।
তাদের ভাষা শিক্ষা ও বৌদ্ধধর্মের নানা প্রকার শিষ্টাচার মূলত বৌদ্ধমন্দিরের পাঠশালাগুলোতেই শেখানো হয়। বর্তমানে রাখাইনরা সর্বজনীন আধুনিক শিক্ষার প্রতিও মনোযোগ দিয়েছে।
বাল্যকাল থেকে বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করায় রাখাইন সমাজে নিরক্ষর নেই বললেই চলে।
রাখাইনদের বিশ্বাস ও মূল্যবোধ (Believes and Values)
রাখাইনরা ওঝার ঝাড়-ফুঁক, বাগমারা ইত্যাদিতে বিশ্বাস করেন। তাদের মধ্যে এ ধরনের নিয়তিবাদ প্রাচীনকাল থেকে বংশ পরম্পরায় চলে আসছে।
রাখাইনরা নতুন কোনো বিষয়কে প্রত্যাখ্যান না করলেও তা অত্যন্ত সংশয়ের সাথে গ্রহণ করেন।
অন্তোষ্টিক্রিয়া (Funeral)
রাখাইনদের কেউ মারা গেলে তাকে স্নান করানোর পর নতুন কাপড় পরিয়ে চিতায় দাহ করা হয়।
চিতা নিভে গেলে পোড়ানো ছাই মাটিতে চাপা দিয়ে রেখে বাঁশ পোঁতা হয়, বাঁশের মাথায় সাদা কাপড়ের নিশান এড়ানো হয়।
দাহ শেষ হলে সবাই নদীতে বা পুকুরে স্নান করে বাড়ি ফেরেন। ৭ দিন পর আত্মীয়-স্বজনরা মৃতব্যক্তির নামে শ্রাদ্ধের আয়োজন করেন।
0 Comments