পাহাড়পুর বাংলাদেশে প্রাক-ইসলামি যুগের সবচেয়ে দর্শনীয় ঐতিহাসিক নিদর্শন । অষ্টম শতাব্দীতে বরেন্দ্রভূমিতে সোমপুর নামক স্থানে পালবংশের দ্বিতীয় শাসক রাজা ধর্মপাল এই মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেন ।
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নওগাঁ জেলার বদলগাছী সদর উপজেলার অন্তর্গত পাহাড়পুর নামক স্থানে এর ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে। এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত।
এত বড় বৌদ্ধ বিহার ভারতবর্ষের আর কোথাও আজ পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয় নি। বলা হয়, হিমালয়ের দক্ষিণে এটিই বৃহৎ একক বৌদ্ধ বিহার।
পাহাড়পুর | Paharpur | নামকরণ | প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন
পাহাড়পুর নামকরণ (Naming)
পাহাড়পুরের প্রধান মন্দির ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর সে ইটের স্তূপের উপর ধুলাবালি, মাটি ইত্যাদি জমে কালক্রমে এক উঁচু টিলার সৃষ্টি এবং বন্য গাছপালা জন্মানোর ফলে গভীর জালে পরিণত হয়।
উত্তর বঙ্গের সমভূমির বুকে এ রকম জঙ্গলে আচ্ছাদিত টিলা দেখে স্থানীয় মানুষ একে 'পাহাড়পুর' নামে আখ্যায়িত করা শুরু করে।
পাহাড়পুর আবিষ্কার (Discover)
বিহারটির ধ্বংসাবশেষ সর্বপ্রথম ১৮০৭ এবং ১৮১২ সালে বুকানন হ্যামিল্টনের (Buchanan Hamilton) নজরে আসে।
পরবর্তী সময়ে দিনাজপুর জেলার তদানীন্তন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওয়েস্টম্যাট (Westmacott) এটি পরিদর্শন করেন।
১৮৭৯ সালে স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম (Sir Alexander Cuningham) এ স্থানটি পরিদর্শন করে খনন করতে চান। কিন্তু স্থানীয় বলিহারের জমিদারের বাধার কারণে তিনি তা করতে পারেন নি।
পরবর্তী সময়ে ১৯২৩ সালে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ, বরেন্দ্র রিসার্চ সোসাইটি ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগ ও অধ্যাপক ডি. আর, ভান্ডারকরের তত্ত্বাবধানে এখানে ব্যাপক খননকাজ শুরু করা হয়।
পরে ১৯২৫-২৬ সালে রাখাল দাস বন্দ্যোপাধ্যায় খননকাজ শুরু করেন। এরপর ১৯৯০-৯১ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে এখানে খননকাজ চালানো হয়।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন (Archaeological Relics)
সোমপুর বিহার (Somapura bihar)
এটি ভারতীয় উপমহাদেশে অবস্থিত সবচেয়ে বড় বৌদ্ধবিহার। এ বিহারের আয়তন ২৭ একর। চার কোণা এ স্থানটির প্রতিটি দিক তিনশ গজ দীর্ঘ ছিল।
স্থানটি উচ্চ প্রাচীরে ঘেরা ছিল এবং চারদিকেই এ প্রাচীরের গায়ে ভিক্ষুদের বসবাসের জন্য ছোট ছোট কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছিল। মোট কক্ষের সংখ্যা ১৭৭। প্রতিটি কক্ষের সাথেই চওড়া বড় বারান্দা ছিল।
পাহাড়পুর বিহারের ঠিক কেন্দ্রস্থলে যে বিশাল মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয়েছে, তা ত্রিতল বিশিষ্ট। সস্খাপনাটির সাথে মায়ানমার ও জাভার বিভিন্ন বিহারের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
পুরো মন্দিরটি উত্তর-দক্ষিণে ১০৮ মিটার এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৯৫ মিটার দীর্ঘ। মূল মন্দিরের যতটুকু অবশিষ্ট আছে তার উচ্চতা ২১ মিটার।
মন্দিরের নকশা এবং দেয়ালে অলঙ্কৃত ইটে তখনকার মানুষের রুচিশীলতার পরিচয় ফুটে উঠেছে। প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ড. রমেশচন্দ্র মজুমদার বলেন, “এ বিশাল মন্দিরের উচ্চ শিখর যখন বিদ্যমান ছিল, তখন এটি বন্দর থেকে গিরিচূড়ার মতো দেখা যেত।
এর সৌন্দর্য, বিশালতা ও গাম্ভীর্য লোকের মনে কীরূপ বিস্ময় উৎপাদন করত, আজ আমরা কেবল কল্পনায় তা অনুভব করতে পারি।”
মান ঘাট (Bathing place)
এটি সোমপুর বিহারের বাইরের দেয়াল থেকে ৪৮ মিটার দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত। এটি প্রায় ৪ মিটার প্রশস্ত এবং ক্রমশ ঢালু হতে হতে ১২.৫ মিটার নিচে গিয়ে ঠেকেছে।
ঘাটের সিঁড়ির সর্বনিম্ন ধাপটি চুনাপাথর দিয়ে বাঁধানো ছিল। স্থানীয় প্রবাদ অনুযায়ী রাজা মহীদলনের কন্যা সন্ধ্যাবতী প্রতিদিন এ ঘাটে স্নান করতেন।
স্থানীয় কিংবদন্তীতে বলা হয়, সন্ধ্যাবতী এ ঘাটে ঐশ্বরিক উপায়ে প্রসিদ্ধ সত্যপীরকে গর্ভে ধারণ করেন সে অনুযায়ী ঘাটটি সন্ধ্যাবতীর ঘাট' নামেও পরিচিত।
গন্ধেশ্বরীর মন্দির (Gandheswari temple)
মন্দিরটি স্নান ঘাট থেকে ১২.২ মিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। মন্দিরটির ভেতরে ৬.৭ মিটার x ৩.৬৫ মিটার আয়তনের হল ঘর এবং একদিকে ছোট কক্ষে পূজার স্থান নির্দিষ্ট ছিল।
হল ঘরের চারপাশে মূর্তি স্থাপনের ব্যবস্থা ছিল বলেও অনুমান করা হয়। মন্দিরের সম্মুখে ৭.৩১ মিটার ব্যাসবিশিষ্ট চক্করের মেঝে খাড়া ইট দিয়ে গাঁথা। এ গাথুনিটি পাহাড়পুরের অন্যান্য স্থাপত্য নিদর্শন থেকে আলাদা ধরনের।
সত্যপীর ভিটা (Satyapir bhita)
ভিটাটি সোমপুর বিহারের দেয়াল থেকে ১২২ মিটার পূর্বে অবস্থিত। প্রকৃতপক্ষে এ ভিটাটি ছিল একটি প্রসিদ্ধ 'তারা মন্দির'। সত্যপীর ভিটার প্রধান মন্দিরটি দক্ষিণমুখী ও চতুষ্কোণ বিশিষ্ট।
মন্দিরের পূজার স্থানটি উত্তরদিকে এবং তার সামনে রয়েছে ভয়যুক্ত একটি হল ঘর। মন্দির প্রাঙ্গনে ১৩২টি নিবেদন স্তূপ আছে।
জৈন বিহার (Jaina vihar)
নওগাঁ জেলার পাহাড়পুরে অন্তত দুটি বিহার ছিল। ৪৭৮-৭৯ খ্রিস্টাব্দের একটি লিপিতে জানা যায়, এ স্থানের বট-গোহালি বা গোয়াল-ভিটায় জৈন গুরু আচার্য গুহনন্দী একটি জৈন বিহার' নির্মাণ করেছিলেন। অষ্টম শতকের শেষার্ধে সোমপুরে শ্রীধর্মপাল মহাবিহার' প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
জৈন বিহারটির ভূমি নকশা ও আকৃতি প্রকৃতি কীরূপ ছিল তা আর এখন জানার কোনো উপায় নেই। কিন্তু ধর্মপাল বিহারটির নকশা ও আকৃতি-প্রকৃতি দৃষ্টিগোচর হয়।
পাহাড়পুরে পাল সম্রাট ধর্মপালের আমলে বৌদ্ধ সোমপুর মহাবিহার প্রতিষ্ঠার আগে সে স্থানে যে জৈন বিহার ছিল, সেখানে প্রাপ্ত তাম্রলিপিতেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ বিহারের ধ্বংসাবশেষের উপরই সোমপুর মহাবিহার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
অন্যান্য নিদর্শন (Other relier)
পালরাজারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হলেও অত্যন্ত উদার ছিলেন এবং তাদের রাজত্বকালে বৌদ্ধ ও হিন্দুধর্ম অনুসারীরা পাশাপাশি অবস্থান করে ক্রমশ উন্নতির পথে অগ্রসর হয়েছিল।
বৌদ্ধ ধর্ম এবং সংস্কৃতির উৎসাহদাতা মহারাজা ধর্মপাল নিজ রাজ্যে হিন্দু বৈদিক যজ্ঞানুষ্ঠানের অনুমতি দিতেন এবং ব্রাহ্মণদের অনেক দান-দক্ষিণা প্রদান করতেন। এর প্রমাণ মেলে পাহাড়পুর ধ্বংসাবশেষ হতে পাওয়া হিন্দুদের নানা দেব-দেবীর মূর্তি হতে।
এ ধ্বংসাবশেষে যেসব মূর্তি পাওয়া গেছে তার মধ্যে হয় মাথা বিশিষ্ট ব্রোঞ্জের মূর্তি, নরমুণ্ডমালা ইত্যাদি একাদশ শতাব্দীর তান্ত্রিকতাবাদের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
পাহাড়পুরে আবিষ্কৃত হিন্দু সংস্কৃতির নিদর্শনের মধ্যে শিব, ব্রহ্ম, বিষ্ণু, গণেশ, বোধিসত্ব, পদ্মপানি, মঞ্জুশ্রী ও তারা দেব-দেবীর মূর্তি উল্লেখযোগ্য। পাহাড়পুরে প্রাপ্ত মূর্তিগুলো বিভিন্ন সময়ের এবং গঠনশৈলী ও শৈল্পিক উৎকর্ষতার ভিত্তিতে এগুলোকে তিনটি প্রধান ভাগে ভাগ করা যায়।
প্রথম ভাগের মূর্তিতে রামায়ণ, মহাভারতের জনপ্রিয় কাহিনী ও কৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন দৃশ্য স্থান পেয়েছে।
এসব ভাস্কর্য নির্মাণ কৌশলের দিক থেকে অপরিপক্ক হলেও এর বিষয়বস্তু প্রগাঢ় মাতবতাবোধ ও ব্যাপক কর্মতৎপরতার পরিচায়ক। দ্বিতীয় ভাগের মূর্তিগুলোতে সাধারণ নির্জীবতা বা কাঠিন্য থাকলেও কিছু মূর্তিতে মসৃণ গতিশীলতার ছাপ রয়েছে।
এগুলো পূর্বাঞ্চলীয় গুপ্ত রীতির ঐতিহ্য বহন করে। তৃতীয় ভাগের মূর্তিতে ধ্রুপদী গুপ্ত রীতির বৈশিষ্ট্যসমূহ, যেমন মূর্তি গঠনের স্বাভাবিক কমনীয়তা, সূক্ষ্মতা ইত্যাদি লক্ষ করা যায়।
পাহাড়পুর বিহারে অসংখ্য মুদ্রা পাওয়া গেছে। অধিকাংশ মুদ্রাই মুসলিম আমলের। অনেক মুদ্রায় খলিফা হারুন-অর রশিদের নাম অঙ্কিত রয়েছে।
এ সূত্র ধরে অনেকে মনে করেন, বখতিয়ার খলজির বঙ্গ বিজয়ের (১২০৪ খ্রিষ্টাব্দ) বহু আগে থেকেই বাংলায় মুসলিম বসতি স্থাপন হয়েছিল। তবে সম্ভবত এসব মুদ্রা পাল রাজাদের আমলে বাণিজ্য প্রসারের ফলেই এদেশে এসেছিল।
এখানে প্রাপ্ত অন্যান্য মুদ্রার মধ্যে শেরশাহ, ইসলাম শাহ্, গিয়াসউদ্দিন বাহাদুর শাহ, দাউদ কররানি, সম্রাট আকবর এবং সুলতান হোসেন শাহ্ শরীর সময়ের মুদ্রা পাওয়া গেছে।
এছাড়া এখানে পাল আমলের তাম্রমুদ্রাও পাওয়া গেছে। এগুলোর উপর দিকে শ্রীবিগ্রহ লিপি' এবং উল্টোদিকে তিনটি 'মৎস্য' উৎকীর্ণ আছে। মুদ্রার পাশাপাশি এখানে প্রচুর কড়ি পাওয়া গেছে।
ধারণা করা হয় যে, পাল আমলের সময় মুদ্রা হিসেবে ঝড়ি ব্যবহার হতো। মধ্যযুগের ঐতিহাসিক মিনহাজ-ই-সিরাজ রচিত 'তবকাত-ই-নাসিরি' গ্রন্থ থেকেও জানা যায়, সেন আমলে বা অঞ্চলে মুদ্রা হিসেবে কড়ি ব্যবহার হতো।
এখানে প্রাপ্ত টেরাকোটার ফলকে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম চোখে পড়ে। এখানে কমপক্ষে ২৮০০টি টেরাকোটা পাওয়া গেছে, যা পাল সাম্রাজ্যের প্রথম দিকের বলে প্রতীয়মান হয়।
পাহাড়পুরের ধ্বংসাবশেষ হতে পোড়ামাটির নানা প্রকারের থালা, বাটি, জলপাত্র, রম্বনপাত্র, দোয়াত, প্রদীপ, লোহার চিত্র, সিরামিকসের টুকরা, টেরাকোটার ফলক, মাটির পাত্রাদি, গৃহস্থালি হাতিয়ার, গহনাপত্র, মুদ্রা, সীলমোহর, তামা ও শিলালিপি ইত্যাদি পাওয়া গেছে। পাহাড়পুরের মুখক্ষলক কলার বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ লৌকিক এবং সাধারণ লোকায়ত কৃষি জীবনের প্রতিচ্ছবি এগুলোর মধ্যে ফুটে উঠেছে।
মানুষ ও প্রকৃতির বিস্তৃত লীলাক্ষেত্রের ক্ষুদ্রতম বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে এ দরিদ্র গ্রাম্য মৃৎশিল্পীদের গভীর জ্ঞান এবং জীবন সম্পর্কে তাদের শ্রদ্ধাশীল মনোযোগ এ ফলকগুলোতে সুস্পষ্ট।
পাহাড়পুর ধ্বংসাবশেষে তৎকালীন রাজকীয় আড়ম্বরপূর্ণ সূক্ষ্ম নিপুণ শিল্পবোধের চেয়ে লোকায়ত জীবনেরই চিত্র বেশি দেখতে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, পাল আমল শিক্ষা-দীক্ষা, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে উচ্চ মর্যাদার দাবিদার ছিল।
পাহাড়পুরে প্রাপ্ত বিভিন্ন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সে দাবিকেই প্রতিষ্ঠা করে। বস্তুত সোমপুর মহাবিহারে বাঙালি যে স্থাপত্য শিল্প ও ভাস্কর্যের উজ্জ্বল প্রতিভার পরিচয় প্রদান করেছে, সমগ্র ভারতে তার তুলনা চলে না।
পাহাড়পুরের সামাজিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব (Social and historical importance):
বাংলার সমাজ ও সভ্যতার প্রকৃতি বিশ্লেষণে পাহাড়পুরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
পাহাড়পুরে বৌদ্ধ ও হিন্দু সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন পাওয়া গেছে। সুতরাং বলা যায় যে, এ অঞ্চলে বৌদ্ধ ও হিন্দু সংস্কৃতির প্রভাব সমপর্যায়ের ছিল অথবা এ দুই সংস্কৃতি বড় ধরনের কোনো বিরোধ ছাড়াই স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলেছিল।
বর্তমান বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহাবস্থানের যে চিত্র আমরা দেখি, তার পূর্বসূরী ছিল। পাহাড়পুর ও মহাস্থানগড়ের সংস্কৃতি।
পাহাড়পুরের ধ্বংসাবশেষ দেখে ধারণা করা যায় যে, তৎকালীন সমাজে ধর্মের বেশ প্রভাব ছিল। যেমনটা আধুনিক বাংলাদেশেও পরিলক্ষিত হয়। সে সময়ের সমাজে ধর্মের প্রভাব ছিল বলেই নৃপতিরা এতো বিশাল আয়তনের ধর্ম মন্দির স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
পাহাড়পুরে প্রাপ্ত প্রাচীন মুদ্রা আমাদের বলে দেয় যে, অতি প্রাচীনকাল থেকেই বাংলার সমাজে মুদ্রা অর্থনীতির প্রচলন ছিল। আর মুদ্রা অর্থনীতির প্রচলন থাকা মানেই সমাজে সামাজিক স্তরবিন্যাস ও অসমতা থাকা।
0 Comments